বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

বাংলাদেশের চলচিত্র শিল্পের আসলে ভবিষৎ কোথায়? সাকিব খানের লিপস্টিক নিয়ে টানাটানি!! হারিয়ে যাচ্ছে একাত্তরের স্বাধীনতা।।

বাংলাদেশের চলচিত্র শিল্পের আসলে ভবিষৎ কোথায়? কোথায় আছে বাংলাদেশের চলচিত্র শিল্পের মান? এই এফ ডি সি থেকে একসময় ওরা এগারো জন, সংগ্রাম, হাঙ্গর নদীর গ্রেনেড এর মতো মুভি তৈরী হয়েছে। আজ সেই ইন্ডাষ্ট্রিতে এক সাকিব খান ছাড়া কোন নায়ক নেই। নেই কোয়ালিটি মুভি। মান্ধাতা আমলের ষ্টুডিও, বস্তা পঁচা স্ক্রিপ্ট, জঘন্য ডায়ালগ ছাড়া আর কি আছে সেখানে?
অনেক দিন পর একটা বাংলা মুভি দেখে ভালো লেগেছিলো, সেটা হলো গেরিলা। এর মাঝে ক্র্যাক প্লাটুন কে নিয়ে দ্বীপ নেভার আগে নামের একটা মুভি তৈরী হচ্ছিলো। সেটার কোন খবর জানা নেই। গানগুলো বেশ ভালো ছিলো। আমাদের ইন্ডাষ্ট্রিতে যে ভালো শিল্পী নেই তা নয়, কিন্তু তাদের উপযোগীতা নেই। নির্মাতারা একজন নিউকামার লেখক, পরিচালক কিংবা নায়ক কে সুযোগ দেয়ার চেয়ে সাকিব খানকে নিয়ে সেই বস্তা পচা টাইপের মুভি বানাতেই বেশি পছন্দ করেন। কেন, জানা নেই।
এর মধ্যে এম এ জলিল অনন্ত "খোঁজ দ্যা সার্চ" এবং "স্পিড" নামের দুইটি ছবি বানালেন। তার অভিনয় সম্পর্কে যথেষ্ট সমালোচনা হলেও এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে এটা একটা উদ্দীপক চেষ্টা ছিলো। অন্তত কেউ তো এগিয়ে এসেছে সমসাময়িক ধারার মুভির মধ্যে নতুন কিছু করার জন্য।
আমি একজন দর্শক হিসাবে আশা করবোই যে এমন একটা মুভি আসুক যেটাকে আমি মনোযোগ দিয়ে দেখতে পারবো। যে মুভি দেখে বিরক্তি তৈরী হয়, সেই মুভির স্বার্থকতা কোথায়? এটা নির্মাতাদের কে বোঝাবে?
হুমায়ুন আহমেদ এর সম্পর্কে যতো যাই হোক, এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে তিনি, নির্ঝর, অনন্ত দের মতো নির্মাতারা আছে বলে এখনো বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি বেঁচে আছে। বাংলাদেশে এমন মুভি মনে হয় ২০ টার বেশি হবেনা যেখানে অ্যানিমেটেড স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে। মাত্র কিছুদিন হলো আমাদের দেশে ডিজিটাল মুভি ফরম্যাট অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু এটার সেই তেল মারা মানসিকতার নির্মাতাদের কতোটুকু কাজে লাগবে সেটা একটা প্রশ্ন বটে।
আমি নিজেও যখন মুভি দেখতে বসি, তখন ইংলিশ মুভিটাকেই বেশি প্রাধান্য দেই। অথচ আমাদের পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতের অর্থনীতির একটা বড় অংশ দাঁড়িয়ে আছে মুভি ইন্ডাষ্ট্রির ওপর। বাংলাদেশের যারা চলচিত্র শিল্পে নির্মাতা হিসাবে আসার সামান্য তম ইচ্ছে রাখেন, তারা অবস্থা দেখে মানে মানে কেটে পড়েন।
ট্যালেন্ট এর অভাব নেই, অভাব নেই যোগ্যতার। শুধু দরকার যথেষ্ট পৃষ্টপোষকতার। দরকার সরকারী সাহায্যের। আমাদের এফ ডিসিতে আরো উন্নত মানের ষ্টুডিও, ভালো মানের যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা হলে, নব্য নির্মাতারা এগিয়ে আসতে সাহস পাবেন। বাংলাদেশে বহু বছর হলো আন্তর্জাতিক মানের কোন চলচিত্র হয়নি। জহির রায়হান রা যদি সেই সময় তখনকার প্রযুক্তিতে এতো ভালো কাজ উপহার দিতে পারেন, সেখানে এখনকার উন্নত প্রযুক্তিতে কেন আরো ভালো কাজ আমরা আশা করবো না?
আমি সপ্ন দেখি একদিন বাংলাদেশেও Tron Legacy কিংবা Terminator এর মতো মুভি তৈরী হবে। একদিন বাংলাদেশেও হলে দর্শক সমাগম হবে। একদিন আমিও বিদেশী বন্ধুদের কাছে গর্ব করে বলবো এই চলচিত্রটা বাংলাদেশে তৈরী। একদিন বাংলাদেশের চলচিত্র গুলো আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাবে। সেদিন আমিও বাহবা দিয়ে ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দেবো। সেদিন আমিও নিউজ এর লিঙ্ক দিয়ে ব্লগে লিখবো।
ক্যাটেগরি: চলচ্চিত্র
জসীম আহমেদ  (তোহিন) -এর বাংলা ব্লগ

রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬

উইনডোজ ফোন 10 রিভিউ নিয়ে আপনাদের সাথে আমার প্রথম টিউন, জেনে নিন windows phone এর সবচেয়ে বেশি আকর্ষনীয় ফিউচার গুলো, মামা মাথা পুরাই নস্ট

হ্যান্ডস অন রিভিউঃ উইনডোজ ফোন ১০ নোকিয়া মাইক্রোসফর্ট লুমিয়া ৯৫০এক্স এল।

লুমিয়াটা কিনেছি বেশ কয়েক সপ্তাহ হল ! ভাবলাম আগে কয়েকদিন ভাল করে ইউজ করি; তাহলে বিস্তারিতভাবে রিভিউ লিখতে পারব। অবশ্যি সময়ও পাচ্ছিলাম না রিভিউ টিউন করার   😛
যাহোক লুমিয়া কেনার কোন প্লান ছিল না ! অ্যান্ড্রয়েডটা হুট করে বিক্রি করে দিলাম। অ্যান্ড্রয়েডে মজা পাইনি বা ভাল লাগে নাই এরকম কোন কারণে নয়। অ্যান্ড্রয়েড এর মধ্যে সনি এক্সপেরিয়া ডিভাইসগুলো  অবশ্যই সবার সেরা এবং বস একটা মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। কারন: সনিতে এইচটি এম এল ৫ সার্পোট করে, যার ফলে বড় বড় ওয়েবসাইট বিজিট করা যায়, এবং আরেক মজার ব্রাপার হচ্ছে যাদের কম্পিউটার নেই তারা সনি এক্সপেরিয়া মোবাইল দিয়ে কম্পিউটার বিউ করতে পারবেন। আর অন্যকোন এনড্রোয়েড ডিভাইসে html5 সার্পোট করে না, তবে samsung s7 j7 edge তে html 5সার্পোট করে। আর আইফোন ও উইনডোজ গুলোর সবগুলে ডিভাইসে html5 সার্পোট করে।  তো অ্যান্ড্রয়েড বিক্রির পর ভেবেছিলাম একটা iPhone নেই। অবশ্যই সেকেন্ডহ্যান্ড ! আইফোন 4, 4s এর সেকেন্ডহ্যান্ড এখন অনেক কম দামে বিক্রয়.কম এবং সেলবাজারে পাওয়া যাচ্ছে। সেজন্যই এই ভূত মাথায় চড়েছিল। আমি আবার কোন সৌখিন বা দামী (!) জিনিস কেনার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক সিম্টেম ফলো করি; তাই পরামর্শের জন্য টুইটারে একটা স্ট্যাটাসও দিয়ে দিলাম। আইফোন নাকি উইনডোজ ফোন এই নিয়ে জাতির তুমুল ভোটাভুটি। 😀





আইফোন নেয়া উচিত এরকম মন্তব্যই বেশি। তবে কয়েকটা বিপক্ষে মন্তব্যও এসেছে এবং অবশ্যই সেগুলি যুক্তিসংগত। উইনডোজ ফোন নিয়েও মন্তব্য এসেছে। বলার আর জো নেই যে নোকিয়া লুমিয়া মানেই উইনডোজ ফোন। অনেকজনই লুমিয়াও ট্রাই করতে বলল। আমিও চিন্তা করলাম আবহাওয়া সম্পূর্ণ পরিবর্তন করা দরকার। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম নোকিয়া লুমিয়া অর্থাৎ উইনডোজ ফোন নিব। আমার মেইন গোল যেতেহু অভিজ্ঞতা কামানো তাই এটা সবচেয়ে বেশি ভাল হবে। যেই ভাবনা সেই কাজ। কয়েকদিন লুমিয়া ফোনগুলির কনফিগারেশন, পারফামেন্স এবং ফিচার ইত্যাদির উপর গুগলে চিরুনী অভিযান চালানো হল। এবং শেষ পর্যন্ত নোকিয়া লুমিয়া ৯৫০ টাই সাধ্যের মধ্যে বেশ ভাল মনে হল। নিয়ে নিলাম ওটাই।

NOKIA LUMIA 950
Bigger. Better. Faster. The best phone on your hands..
ফিচার ও বিস্তারিত রিভিউ
প্রথমেই বলব নোকিয়া লুমিয়া ৯৫০ একটি মিড বাজেটের ফোন। এর বর্তমান দাম ধরা হয়েছে ৩৫,৫০০ টাকা। অর্থাৎ এটি পুরোপুরি বাজেট ফোনও নয় আবার বেশীদামী ফোনও নয়। দুইটার মাঝামাঝি বলা যেতে পারে। ফোনটিতে মূলত আগের হাই-এন্ড নোকিয়া লুমিয়া নরমাল ফিচারগুলি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচারটি হল এটি 4G সাপোর্টেট ফোন। এই বাজেটের মধ্যে সাধারণত উন্নতমানের 4G সেট পাওয়া যায়না। আমাদের দেশে ইতিমধ্যেই 3.9G দিয়ে দিয়েছে ! আশাকরি সামনে বছরেই আমরা 4G LTE পেয়ে যাব। 🙂
ডিসপ্লেঃ
লুমিয়া ৯৫০ এর সবচেয়ে আকর্ষনীয় হল এটিতে রয়েছে ৫.৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে। যেটি লুমিয়া সিরিজগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড়। তাই যাদের বড় ডিসপ্লে ব্যবহার করে অভ্যাস তারা বেশ কমফোর্ট ই ফিল করবেন। এটির রেজুলেশন ৩০০০+১৯২০  পিক্সেল। যা এত বড় একটি ডিসপ্লের জন্য খুব ভালো। তাছাড়া এটির Pixel Density 1990 ppi যা অনেক বেশি। অবশ্যি আপনার বেশিদামী ফোন ব্যবহারের অভ্যাস না থাকলে পার্থক্য ততটা বুঝতে পারবেন না। যাহোক বড় ডিসপ্লে হওয়ায় ফোনটিতে ভিডিও, গেমিং এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে অনেক মজা পাবেন। তবে ডিসপ্লে বড় হলেও ফোনটি মোটেও অনেক বড় মনে হয়না। অর্থাৎ ফোনটা ঠিক পাতলাও নয় আবার স্লিমও নয় কিন্তু মোটা মনেহয়না। স্লিম গঠন এবং রাউন্ডেড কর্ণার এর জন্য অনায়াসে প্যান্টের পকেটে রাখতে পারবেন 🙂

লুমিয়া সিরিজের সবচেয়ে বড় ডিসপ্লেযুক্ত ফোন লুমিয়া ৯৫০
আর দুটি দারুন ব্যাপার হল এটির IPS LCD ডিসপ্লের সাথে Gorilla Glass 4 ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে ডিসপ্লেতে কোন দাগ পড়ার সুযোগ নাই এবং স্ক্রিন প্রটেকশন ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। আমি গরিলা গ্লাস যুক্ত ফোন এর আগে ব্যবহার করিনি। এই প্রথম। আমি সুই এবং নখ দিয়ে ডিসপ্লেতে দাগ ফেলানোর চেষ্টা করেছিলাম। 😉  কিন্তু একটুও দাগ পড়েনি এবং কোন ক্ষতি হয়নি। সত্যিই দারুন ব্যাপার একটা।
লুমিয়া ৯৫০ এর আরেকটি দারুন ব্যপার হল এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে Super Sensitive Touch Technology. যার ফলে আপনি ঠান্ডার সময় হাতে গ্লোবস পরেও ফোনটি ব্যবহার করতে পারবেন এবং আপনার আঙ্গুলের প্যাড এর পাশাপাশি নখের সাহায্যেও টাচ করতে পারবেন। সামনে ঠান্ডা আসতেছে তাই এই সুবিধাটা আমার দারুন কাজে আসবে 🙂
গঠনঃ
নোকিয়া সাধারণত লুমিয়া তৈরীর প্রথম থেকেই কালারফুল ফোন তৈরী করছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় লুমিয়া ৯৫০ ও পাবেন লাল-কমলা, হলুদ, সবুজ, কালো এবং সাদা কালারে। আমি নিয়েছি কালোটা। কালোটাও জোস ! অন্য কালার পাইনি। 🙁 লালচে কমলা কালারটা অনেক সুন্দর লাগে দেখতে।  তবে ফোনটির ব্যাক কভারটির গঠন দারুন। অনেক সুন্দর দেখা যায়, স্মুথ এবং সহজে স্লিপও করবে না।
ব্যাক কভারটি খোলা যায় তবে এর ব্যাটারি খুলতে পারবেন। ব্যাটারিটি আলাদা কিন্তু উপরে সেপারেটর সহ স্ক্রু দিয়ে আটকানো আছে। শুধু মাইক্রো সিম কার্ড এবং মাইক্রোড SD কার্ড লাগাতে পারবেন।

ফোনটির পুরো ফিটিংটা অনেক সুন্দর এবং আকর্ষনীয়। ফোনটি অনেক শক্তপোক্তও মনে হয়েছে অর্থাৎ পড়ে গেলে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা অনেক কম।
অপারেটিং সিস্টেম এবং ফিচারঃ
লুমিয়া ৯৫০ এ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে দেয়া হয়েছে উইনডোজ ফোন ১০ এবং মাইক্রোসফট এর সর্বশেষ রিলিজ করা Amber আপডেটও দেয়া হয়েছে ফোনটিতে। তাই আগের ফোনগুলির তুলনায় এটিতে বেশ কয়েকটি নতুন ফিচার এবং বিভিন্ন বিষয় ফিক্স করা হয়েছে। তবে ফোনটিতে Compass আছে। 🙁 ফলে  কমপাস অ্যাপ ফোনটিতে কাজ করবে এবং ম্যাপ ব্যবহারেও সুবিধা হবে। যদিও কমপাস এবং ম্যাপ খুব বেশি কাজেই লাগে।
লুমিয়া ৯৫০ এ কিন্তু সুন্দর বাংলা সাপোর্ট করে। অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন উইনডোজ ফোনে বাংলা সাপোর্ট করে কিনা। বর্তমানে Windows Phone 8 or 10 সমৃদ্ধ সকল ফোনে বাংলা সাপোর্ট রয়েছে। তবে Windows Phone 7 কিংবা 7.5 এগুলিতে বাংলা সাপোর্ট নেই। তবে এই ফোনটিতে সবচেয়ে বেশি মজার ব্যাপার হচ্ছে, আপনি মুখে যা বলবেন মোবাইল তা অটোমেটিক লিখে ফেলবে,, আপনাকে আর কস্ট করে হাতে লিখে চ্যাট করতে হবে না।

ফোনটিতে WiFi, GPS এর পাশাপাশি দেয়া আছে Bluetooth 4.2! যা বর্তমানে ব্লুটুথ এর সর্বশেষ ভার্সন এবং অনেক ফার্স্ট। ফলে অন্যান্য 4.0 বা 3.0 ভার্সনের ব্লুটুথ সুবিধার ফোনগুলিতে অনেক দ্রুত গান/ফটো/ভিডিও ইত্যাদি সেয়ার করতে পারবেন।
আরকটা দারুন সুবিধা হল Flip to silence ! অর্থাৎ কোন কল এলে ফোন সাইলেন্ট করার জন্য কোন বাটন টিপতে হবেনা। আপনি ফোনটি উপুড় করলেই সাইলেন্ট হয়ে যাবে। যদিও সুবিধাটি সাধারণ ব্যবহারকারীদের তেমন কাজে আসলে বলে মনে হয়না। তবে ব্যবসায়ী অফিসিয়াল মানুষদের জন্য দরকারী একটি ফিচার।
মিউজিক এবং অডিওঃ
ফোনটির সাউন্ড কোয়ালিটি অনেক সুন্দর। এবং মজার ব্যাপার হল এতে রয়েছে Dolby Digital Sound System ! তবে এটা শুধু হেডফোন দিয়ে শোনার সময় কাজ করবে। ফোনটির সাথে অরিজিনাল যে হেডফোনটি দিয়েছে সেটি দেখতে অনেক সুন্দর। যেটা আইফোন ব্যতিত  অন্যান্য হেডফোন এবং হেডসেটে দারুন সাউন্ড হয় না।

এছাড়াও নোকিয়া লুমিয়ার আর ফোনগুলির মত এটিতেও রয়েছে FM Radio। যা অন্যান্য ফোনগুলি যেমন আইফোন কিংবা অ্যান্ড্রয়েট এ প্রায় বিলুপ্তই বলা যায়।
ক্যামেরা এবং ভিডিওঃ
ফোনটির পিছনের ক্যামেরা ২০ মেগাপিক্সেল এবং সামনে ৫ মেগাপিক্সেল। LED ফ্লাসও রয়েছে। নোকিয়া আগে থেকেই ক্যামেরার দিক দিয়ে বিখ্যাত। লুমিয়া ৯৫০ এর ২০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ছবি জীবন্ত ছবির মত মনে হয়। ছবি খুব ভালই আসে তবে যেরকম আশা করেছিলাম ঠিক সেরকম আমার মনের মত। ছবি খুব ক্লিয়ার ।

লুমিয়ার আরেকটি অসাধারণ অ্যাপ হল Nokia Smart Cam ! এটি দিয়ে সেকেন্ডে অনেকগুলি ছবি তোলে (সম্ভবত ১০টা) এবং Best Shot টি নির্বাচন করে। এছাড়াও Remove Moving Object সহ আরো ৪টি Shot পাবেন। বাচ্চাকাচ্চাদের ছবি তুলতে এই অ্যাপটি দারুন কাজে আসে। 🙂

লুমিয়া ৯৫০ এ 1920p HD এবং 1200p Full HD তে ভিডিও 30 Frame Per Second রেকর্ড করা যায়। আর সামনের ক্যামেরা দিয়ে 1280p এ ভিডিও রেকর্ড হয়।  ছবির থেকে ভিডিও অনেক ভাল হয়। অনেক ক্লিয়ার এবং ভিডিওর সময় অটোফোকাস দারুনভাবে কাজ করে। ভিডিও অনেক হাই কোয়ালিটিতে রেকর্ড হওয়ায় ১ মিনিটের ভিডিও প্রায় 300 মেগাবাইট এর মত জায়গা নেয় 😛 তাই বড় কোন ভিডিও রেকর্ড করার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই বড় সাইজের মেমোরী কার্ড লাগাতে হবে।
পারফামেন্সঃ
ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে Qualcomm Snapdragon S4 dual-core 2.2Ghz processor এবং 3gb RAM, full বাজেট ফোন হিসেবে এটি মোটেও খারাপ বলা যাবেনা। অ্যাপ, গেম ইত্যাদি বেশ ভাল এবং স্মুথলিই চলে।
এবং 3000p Full-HD এর ভিডিওগুলিও খুবই স্মুথভাবে চলে।

ফোনটির ইন্টারনাল মেমোরী 32 জিবি। ৪.৫ গিগাবাইট এর মত ব্যবহারযোগ্য। তবে টেনশনের কারণ নেই কারণ আপনি 256 গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরীকার্ড লাগাতে পারবেন। এছাড়াও ফোনের সাথে 7 জিবি ফ্রি স্পেস পাবেন SkyDrive এ।
এবার আসা যাক ব্যাটারি লাইফ এ। এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 3400mAh এর ব্যাটারি তাই ফোনটির সবচেয়ে ভাল দিক ব্যাটারি চার্জ অনেক ভাল থাকে। নোকিয়ার তথ্য অনুযায়ী ফোনটি একনাগাড়ে ২৯ দিন স্টানবাই অবস্থায় চালু থাকতে পারবে। টকটাইম ২জিতে একনাগাড়ে ২৩.৯ ঘণ্টা এবং থ্রিজিতে ১৫.২ ঘণ্টা। ওয়াইফাই দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারবেন ৮.৭ ঘণ্টা এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক দিয়ে ৭.২ ঘণ্টা
শেষ কথাঃ
নোকিয়া লুমিয়া ৯৫০ লুমিয়া সিরিজের সবচেয়ে বড় ফোন ( অক্টোবর ২০১৫ অনুযায়ী ) ৫.৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে, ৪জি সাপোর্ট, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, Full-HD রেকডিং ইত্যাদি আকর্ষনীয় সব সুবিধা বিবেচনায় দারুন একটি ফোন।
যাহোক লুমিয়া ৯৫০ এর সকল স্পেক, আকর্ষনীয় গঠন ও দারুন পাসফামেন্স বিবেচনায় ৩৫ হাজার ৫০০ টাকায় একটি দারুন ফোন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
এই টিউনটিতে আমি শুধু Nokia Lumia ৯৫০ এর রিভিউ লিখেছি অর্থাৎ ডিভাইজটিতে ফোকাস করেছি অপারেটিং সিস্টেমে নয়। Windows Phone 10  অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে তেমন আলোচনা করা হয়নি। পরবর্তী টিউনে Windows Phone 10 অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আরেকটা রিভিউ লিখব এবং নিয়মিত উইনডোজ ফোন এর সুযোগ-সুবিধা, টিপস, ট্রিকস, অসুবিধা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিত টিউন করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
রিভিউটিতে লুমিয়া 950 এর রিভিউ দেয়া হয়েছে এর কোন কনফিগারেশ কিংবা স্পেসিফিকেশন দেয়া হয়নি। এখানে ক্লিক করে নোকিয়ার ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত খুনিটানি স্পেসিফিকেশন জেনে নিতে পারেন।

joshimsonea@gmail.com


শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

একট ভয়ংকর ব্ল্যাক ম্যাজিকের সত্য ঘটনা

আর্সসালামু ওয়াআলাইকুম, আমার নাম জসীম আহাম্মেদ তৌহিন। পেশায় একজন ওয়েব সাইট ডিজাইনার এন্ড স্টুডেন্ট, আমার বাসা ময়মনসিংহের ভালুকা থানায়।
 আজকে আপনাদের সাথে আমি যে ঘটনাটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, ঘটনাটি ঘটে প্রায় ২২ বছর পুর্বে আমাদের পাশের এক গ্রামে, কিন্তু এখনো ঘটনাটি লোখমুকে প্রচলন আছে। ঘটনাটা মূলত একটা ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে, সভ্যতার আদি থেকেই জাদুবিদ্যা আর জাদুকর বিষয়ে মানুষের প্রচণ্ড রকম আগ্রহ। জাদুবিদ্যা মূলত অতিন্দ্রিয় আর প্রাকৃতিক শক্তিকে বশ করার বিদ্যা। আর পৃথিবীতে কিছু দুস্টু শ্রেণির লোকেরা এ বিদ্যা শিখে থাকে। তারা কঠোর সাধনা করে অন্ধকার জগত্‍ এর বাসিন্ধাদের সাথে যোগাযুগ স্থাপন করে, আর এসব ভূত বা প্রেতাত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে ভবিষ্যদ্বাণী বা কোন কাজ করার বিদ্যাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালোজাদু বলে। অন্যদিকে এক ধরনের বিশেষ ব্ল্যাক ম্যাজিক হচ্ছে ভুডু। ভুডুবিদ্যার সাহায্যে নাকি কবরের লাশ জ্যান্ত করে তাকে গোলামের মতো খাটানে যায়। ভুডুবিদ্যা বা ব্ল্যাক ম্যাজিকের সর্বপ্রথম সংকলন হয় আফ্রিকায়: প্রচলিত আছে যে, কোন এক সময় আফ্রিকার মরক্কোর জঙ্গলে এক বুড়ি বাস করত।
 বুড়ি অনেক সাধনা উপাসনায় সিদ্ধ ও যাদুবিদ্যায় পারদর্শী ছিল, তার এক ছেলে ছিল, হঠাং একদিন অপঘাতে বুড়ির ছেলেটি মারা যায়।তখন বুড়ি তার ম্যৃত ছেলের শরীরে ভুডুবিদ্যা প্রয়োগ করে এবং তার ছেলেকে আবার জীবন্ত করে ফেলে ও প্রতিহিংসার প্রতিশোধ নেয় >> যাইহোক এখন মূল ঘটনায় আসি''
গ্রামের নাম চান্দাবর, রাজীব আর সজীব ঐ গ্রামের বাসিন্ধা। তারা বয়সে যুবক, রাজীব আর সজীব একজন আরেজনের খুব ভালো বন্ধু। হঠাং একদিন এই বন্ধুত্বের মাঝে ফাটল ধরল। ফাটল ধরার কারন: রাজীবের একটি ছোট বোন ছিল, তার নাম ছিল মুন্নি। মুন্নি দেখতে অনেক বিউটিফুল ছিল। যাইহোক, সজীব রাজীবদের বাড়ীতে যাওয়া আসার ফলে সজীব আর মুন্নির মাঝে একটা সম্পর্ক হয়ে যায়।
 এই সম্পর্কের খবরটা একদিন রাজীব জেনে যায় ও সজীবের সাথে ঝগড়া করে, সজীব ঝগড়ার এক পর্যায়ে বলে: আমি তোর বোনকে বিয়ে করব। আর রাজীব উত্তরে বলে: আমি বেঁচে থাকতে আমার বোনকে তোর কাছে বিয়ে দিব না। এইভাবে দুই বন্ধু হয়ে যায় একজন আরেকজনের চিরশুত্রু।
 এইখান থেকে মেইন ঘটনার শুরু:
রাজীব আর সজীবের ঝগড়ার এক মাস পর থেকে, হঠাং একদিন রাজীবের খুব জ্বর হয়, তারপর ডাক্তারে কাছে যায় ঔষধ খায় কিন্তু জ্বর কিছুতেই কমছিল না। এভাবে যত দিন যাচ্ছে সে ততো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে, চেহেরা ভেঙ্গে ঝুলে পড়েছে, বিছানা থেকে উঠতে পারে না, বল শক্তি হারিয়ে বুড়ো হয়ে যাচ্ছিল। দিন-রাত কত রকম চিকিত্‍সা চলছিল কিন্তু রাজীবের কোন পরিবর্তন হয় না, দিন দিন তার শরীর অবশ হয়ে যাচ্ছে।
 অসুস্থের মাঝে রাজীব প্রতিদিন রাত্রে অদ্ভুদ ধরনের স্বপ্ন দেখত, যেমন: সে মারা গেছে লাশ হয়ে খাটিয়ায় শুয়ে আছে তার চারপাশে পরিজন আন্তীয়স্বজনরা কাঁদছে, এবং সজীব দূরে দাড়িয়ে হাসতাছে। এমন অন্ভুদ রকমের স্বপ্ন প্রতিদিন দেখে এভাবেই মৃত্যুর সঙ্গে পান্জা লরে দিন কাটছিল রাজীবের।
 একদিন রাজীবের ছোট চাচা তাদের বাড়ীর পিছনের বাশঝাড়ে যায় আগাছা জঙ্গল কেটে পরিক্সার করার জন্য, যখন আগাছা জঙ্গল সাফ করতে ছিল, তখন সে দেখতে পেল বাশঝাড়ের এক জায়গাই কিছু লালমাটি বের হয়ে আছে, তখন সে লালমাটিটার কাছে যায়।এবং লক্ষ করে দেখল এবং তার মনে হল মাটিটার ভিতরে কিছু পুঁতে রাখা আছে, তার সন্ধেহ হল। এক সময় সে সাহস করে তার হাতের দা দিয়ে ঐ মাটিতে আচার দেই,
আচার দেওয়ার পর সে কিছু একটা দেখল, তারপর ভয়ে ভয়ে আরেকটু মাটি সরায় ও তারপরে সে দেখল একটা বাচ্ছার হাত এটা দেখে সে সাথে সাথে বাশঝাড় থেকে বেড়িয়ে দৌড় দিয়ে বাড়ীতে চলে যায় এবং সবাইকে বলে
বাশঝাড়ের ভিতর মরা বাচ্ছার লাশ। তখন বাড়ীর কয়েকজন সাহসীরা বাশঝাড়ে আসে ও খুব ভয়ে ভয়ে মাটি খুড়ে। মাটি খুরার পর তারা দেখল একটি বাচ্ছার লাশ, বাচ্ছার শরীরে হাতে মুখে পায়ে ঠোটে কানে ভিবিন্ন যায়গাই অনেকগুলো সুচ ফুটানো ও সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপারটা হল বাচ্ছাটার মুখের দাতগুলো অনেক ভয়ংকর, বাচ্ছাটা তার দুই দাত দিয়ে একটি তাবিজ কামরে দরে রেখেছে। বাচ্ছাটার এই রকম দৃশ্য দেখে সবাই ভয়ে কাপছে, তখন ঐ ঘটনাটি গ্রামের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং সে জাইগায় অনেক লোকজন ঝড়ো হয়, সব লোকজনের মাঝে একজন মুরুব্বি হুজুর ছিলেন, তিনি বাচ্ছাটা দেখেই সাথে সাথে বললেন এটা বাচ্ছা না এটা একটা মোমের তৈরি পুতুল। তখন সবাই অবাক হয়ে হুজুরের মুখের দিকে চেয়ে থাকে ও জানতে চায় এই পুতুল কেই এইখানে এইভাবে পুতে রাখা হয়েছে? তখন হুজুর কিছু না বলে পুতুলটা মাটি থেকে হাতে নেই, এবং পুতুলের গায়ে লাগানো সবগুলো সুচ বের করে ও পুতুলের দাত ভেঙ্গে তাবিজটা আগুনে পুড়িয়ে ফেলে।
 তারপর হুজুর সবাইকে বলে এই পুতুলের দ্বারা কাউকে বান মারা হয়েছে, যতদিন এ পুতুলটা মাটির নিচে ভালো থাকবে, যাকে ভান মারা হয়েছে সে ঠিক ততদিন বাঁচবে, পুতুলটা আস্তে আস্তে ধ্বংস হবে, যাকে কবজ করা হয়েছে সেই ব্যাক্তিটাও আস্তে আস্তে অসুস্থ হবে। পুতুলটা একদিন মাটির সাথে মিশে যাবে ঐ ব্যক্তিটাও তখন দুনিয়ার বুকে শেষ নিঃস্বাশ ত্যাগ করবে। হুজুরের কথাগুলো সবাই অবাক হয়ে শুনছিল। এবং হুজুর বলল এই বাশঝাড়ের আশে পাশের বাড়ীতে কেউ কি অসুস্থ আছে অনেকদিন ধরে, তখনি সাথে সাথে রাজীবের পরিবারের সকল লোকজন উত্তর দেয়। তখন হুজুর রাজীবের কাছে যায় এবং সবকিছু জিঙ্গাসা করে ও বলে তোমার কি কারো সাথে কোন প্রকার বড় ধরনের ঝগড়া হয়েছে বা কোন শুত্রু? তখন রাজীব সজীবের সাথে তার বোনকে নিয়ে ঝগড়ার কথা বলে ও প্রতিদিন সে যে অদ্ভুদ স্বপ্নটা দেখত সেই কথাও বলে। তারপর হুজুর বুঝতে পারল এটা তার বন্ধু সজীবের কাজ। এবং সজীবকে তার বাড়ী থেকে লোক দিয়ে দড়িয়ে আনা হয় এবং টপচার করে জিঙ্গাসা করা হয়, তখন সজীব সবকিছু শিকার করে ও বলে আমি চেয়েছিলাম রাজীব মরে যাক তারপরে আমি মুন্নিকে বিয়ে করব।
 সেজন্য আমি এক কবিরাজের কাছে যাই ও সেই কবিরাজ আমাকে কিছু কাজ দেয় রাজীবের মাথার চুল, হাতের নখ নেওয়ার জন্য। তখন আমি তার শরীরআংশ নিয়ে কবিরাজের কাছে যাই এবং কবিরাজ একটি পুতুল তৈরি করে ও পুতুলের শরীরে কাপনের কাপড় পড়িয়ে আমার হাতে দিয়ে বলে, যে এই পুতুলটাকে জানাযা পড়ে তোর শত্রুর বাড়ীর ৪০ হাতের মদ্যে মাটির নিচে পুঁতে রাখবে,, আর বলে যত তারাতারি পুতুলটা বিনিস্ট হবে ততো তারাতারি তোর পথের কাটা দুর হয়ে যাবে। আমি তখন পুতুলটা নিয়ে ও কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে এক হুজুরের কাছে যাই এবং জানাযা পড়িয়ে নিয়ে আসি। হুজুর জিঙ্গাসা করেছিল কাপনের কাপড়ের ভিতর কার লাশ, তখন আমি বলেছিলাম আমার ছোটভাই কিছুক্ষন আগে হয়ছে ও এখন মারা গেছে। মানুষ যাতে না জানতে পারে সেজন্য আপনার কাছে নিয়ে এসেছি। এই বলে হুজুরের হাতে কিছু টাকা দিলাম ও কাওকে বলতে না করলাম। তারপর পুতুলটাকে এনে বাশঝাড়ে পুঁতে রাখি। {যাইহোক} পুতুল ওঠানোর পর থেকে রাজীব ধীরে ধীরে আগের মতে সুস্থ হয়ে যায়। এবং সজীবকে পুলিশে ধড়িয়ে দেওয়া হয় ও কবিরাজকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
 এই ছিল আমার শুনা একটি সত্য ঘটনা ভালো লাগলে পড়ে শুনাবেন ভাইয়া। আমার জানা আরো কিছু আলোকিক ঘটনা আছে যদি সময় পাই তাহলে লিখে পাঠাব। এমন একটা ভৌতিক অনুষ্ঠান প্রচার করার জন্য এশিয়ান রেডিওকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক কালো ভুত লাল পেত্নীর শুভেচ্ছা। আমারা ভূতেরা আছি এশিয়ান রেডিওর সাথে দেখি কনক ভাই ফিরোজ ভাই আমাদের আটকায় কে? সবাই একদিন ভয় পাবে, যে যেখানেই আছেন এশিয়ান রেডিও
পকেটেই রাখুন। আর ঘরের বাতি নিভিয়ে জানালা খুলে কানে হেডফোন লাগিয়ে ফোলসাউন্ডে এইড ডি কোয়ালিটিতে শুনতে থাকুন ভৌতিক । এশিয়ান রেডিও 90.8 FM... চলো দূর বহুদুর।

Phone: +8801626852072
 Email: joshimbhaluka@hotmail.com
 facebook: http://facebook.com/joshim.bhaluka.3
 My blogsite: http://joshim-s.blogspot.com

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আমার জীবনের সেরা হাড় কাপানো লোমহর্ষক ঘটনা

আমার নাম জসীম পেশায়
 একজন ওয়েব সাইট ডিজাইনার এবং স্টুডেন্ট
 বাসা ময়মনসিংহের ভালুকা থানায়
 ঘটনাটি ২০১০ সালের মার্চ
 মাসে ঘটে আমি তখন ক্লাস ৮ম শ্রেনিতে  পড়ি, >>
আমি যে ঘটনাটি সেয়ার করব তা হল
 আমি তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। আমি ছিলাম
 ক্লাসের সেরা ছাএ সে সুবাদে অনেক
 মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব ছিল। যার
 ফলে সবাই আমাকে ভালবাসত। আমি যখন
 ক্লাস সেভেন এ উদয়মান হই, তখন একটি মেয়ের
 সাথে আমার খুব বন্ধুত্ব হয়, যা মনে করেন
 ভালবাসা। আর এ ভালবাসার নেশায়
 আমি হয়ে যায় ক্লাসের খারাপ ছাএদের
 মধ্যে একজন। নিয়মিত ক্লাস করিনা, স্কুল
 কামাই করি। আর সুযোগ পেলেই দিন রাত
 মেয়েটার সাথে ফোনে কথা বলি।
 এমনি করে দিন কেটে যাচ্ছিল। আমি যখন
 ক্লাস ৮ম শ্রেনীতে  উঠি। তখন আমার রেজাল্ট খুব
 বেশি একটা ভাল হয়নি। কিন্তু
 সেদিকে একে বারেই আমার খেয়াল নেই।
 আব্বা আম্মু
 বাসা থেকে বকা ঝোকা করছে,যে রেজাল
 এমন হল কিভাবে। আমি তাদের কারও কথায়
 উত্তর দেইনা। ক্লাস 8 এর ৫ম দিন,এখান
 থেকে মেইন ঘটনার শুরু। যে মেয়েটার
 সাথে আমার সম্পর্ক হয়, ফিরোজ ভাই
 ব্যক্তিগত কারনে আমি মেয়েটার নাম
 উল্লেখ করছি না। সেই মেয়েটাকে তার
 বাবা লেখা পড়ার স্পীড বাড়ানোর জন্য
 নাইট কোচিং এ ভরতি করাই।
 এদিকে সে রাত ১১ টার সময় বাড়ি ফিরে।
 সাথে তার বাবা থাকে যার
 কারনে আমি তার সাথে বেশি কথা বাথা ও
 মিলামেশা করতে পারিনা। এদিকে আমার
 মাথায় ৬৪ সেন্টিমিটার তাপমাতরা।
 আমি একদিন আম্মুকে বললাম যে আমি নাইট
 কোচিং করব। আম্মু আর
 কথা না বাড়িয়ে কোচিং সেন্টারে এ
 ভরতি করিয়ে দিলেন। আমার কোচিং এর
 প্রথম দিন যাওয়ার
 সাথে সাথে মেয়েটা আমাকে দেখে মহা খুশি আমিও
 খুশি কারণ
 আমরা দুজনে একসাথে যাওয়া আসা করব।
 কিন্তু রাতে কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার
 পথে মেয়েটার বাবা থাকায়
 বেশি একটা কথা বলতে পারতাম না।
 এভাবে দিন চলতে লাগল। হঠাৎ একদিন
 আমি সাভাবিক রাতের মত
 হাতে একটা মোবাইল কাধে ব্যাগ
 ঝুলিয়ে রাত ৮টার সময় কোচিং এ
 যাচ্ছি মোবাইলের লাইটটা অন করে। প্রায়
 একমাইল রাস্তা হেটে কোচিং এ যেতে হয়।
 আমাদের বাড়ি গ্রামে। ছোট থেকেই
 গ্রামে বেড়ে ওঠা। প্রতিনিয়ত ভুত পেতের
 ঘটনা দেখতে শুনতে অবস্থ হয়ে গেছি। এখন
 সাভাবিক মনে হয়। তাই কিছু না ভেবেই
 আনমনে নিরজন
 রাস্তা দিয়ে একা একা হেটে যাচ্ছি।
 আমার গন্তব্যে পৌছার জন্য।
 মোবাইলে গান বাজতাছে ফোল সাউন্ডে ।
 ফিরোজ ভাই আর একটা কথা বলে রাখা ভাল
 যে,আমাদের গ্রামে এখন প্রযন্ত কোন
 বিদ্যুৎ আসেনি। বিদ্যুৎনা থাকায় সন্ধার
 পরেই গ্রামটি নীরব থাকে। আমাদের
 গ্রামে রাত ৮ টা মানে গভীর রাত। সন্ধার
 পরেই সবাই ঘরের খিল
 লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। গ্রামের
 মানুষেরা মোবাইল চাজ্ দেয়
 একমাইল দুরের বিরুনীয়া বাজার থেকে।
 আর গ্রামের ভিবিন্ন স্থানে রয়েছে পুকুর,
ডোবা,বাশঝাড়, আম,কাঠালের গাছে বরা বন
 জঙ্গল, বলতে গেলে একটি অজ পাড়া গাঁ। ও
 এখন ও তাই,যাই হোক ঘটনায় আসি।
 আমি রাস্তা হাটছি মেয়েটার
 কথা চিন্তা করে। কিন্তু হঠাৎ আমার
 মোবাইলের গানটা থেমে গেল।
 আমি মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখলাম
 মোবাইলের চাজ্ কম বেটারি low
 warning দিচ্ছে। তাই আমি গান
 না বাজিয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি আপন
 মনে। নিজের পায়ের শব্দ
 নিজেকে শুনতে হচ্ছে। হঠাৎ আমার মনে হল
 আমার পিছনে কেও একজন আছে পায়ের
 সাউন্ড পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু
 পিছনে তাকিয়ে দেখি কেও নেই। আবার
 সামনের দিকে হেটে যাচ্ছি এবার কিছু
 ফিশ ফিশ কথা বাথা শুনতে পেলাম।
 মনে একটু সাহস পেলাম, হয়ত
 আশে পাশে লোকজন আছে কিন্তু মোবাইলের
 লাইট দিয়ে দেখলাম কেও নেই চারদিক
 ঘুটঘুটে অন্ধকার। আর শো শো ঠান্ডা বাতাশ
 বইছে। এবার একটা মেয়েলি বয়েসের
 হাসির শব্দ শুনতে পেলাম, ও অবাক
 হয়ে রিতিমত ভয় পেয়ে গেলাম, এত
 রাতে জঙ্গলের ভিতর
 মেয়ে আসবে কোথেকে,,,, আমি ভাবলাম মনের
 ভুল। আমি রাস্তা দিয়ে হেটে শেষ প্রযন্ত
 কোচিং এ
 গিয়ে দেখি মেয়েটা একা একা ক্লাসে বসে আছে, কোন
 সার নেই অফিষ ঘর বন্ধ।
 আমি বললাম কী বেপার
 তুমি একা বাকিরা কই? সে আমাকে বলল
 আজকে কোচিং বন্ধ।
 আমি মেয়েটাকে বললাম তোমার
 বাবা আসেনি? সে বলল জরুরি কাজে ঢাকায়
 গেছে,ফিরতে ২/৩ দেরি হবে, আব্বু
 বলেছে তোমার সাথে যাওয়া আসা করতে। এ
 কথা বলেই
 সে আমাকে জরিয়ে ধরল, আমি নিজেকে সংযত
 করে বললাম চল বাড়ি যাওয়া যাক।
 সে বলল চল, দুজন নিরজন
 রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি  আর
 কথা বলছি। আমার
 একটা কথা মনে পড়ছে, তাকে জিঙ্গাসা করলাম
 যে, আজকে কোচিং এ আসছ কার সাথে?
 সে উত্তর বলল তার এক কাজিন এর সাথে।
 আমি বললাম তোমার কাজিন এখন কোথায়?
 সে বলল বাড়ি চলে গেছে।  আমি ও
 সে কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে হাটছি।
 এমন সময় কান্নার শব্দ, একটা মেয়েলি কন্ঠ''

''আমি থমকে দাড়ালাম ঠিক
 সে জায়গা যে জায়গায় হাসির শব্দ
 পেয়েছিলাম!! আমি এখন মেয়েটির
 দিকে না তাকিয়ে সাহস করে বললাম,
যে তুমি এখানে দাড়াও
 আমি দেখে আসছি কে কান্না করে।
 আমি রাস্তা থেকে জঙ্গলে প্রভেশ
 করে দেখি, একটা মেয়ে পিছন
 দিকে ঘুরে বসে কান্না করছে, আমার
 পায়ের শব্দ সে, কান্না থামিয়ে দিল।
 কাছাকাছি যাওয়ার পর আমি বললাম
 কে তুমি??? এখানে কান্না করছ,?? আমার কথার
 কোন উত্তর দিল না।  আমার
 দিকে ঘুরে তাকাল এবং আমি মোবাইলের
 লাইটের আলোই যা দেখলাম।
 সেই মেয়েটা: যাকে আমি ভালবাসি তার
 মুখে রক্ত।  আমি এই দৃশ্য দেখে ভয়
 পেয়ে দৌড়ে জঙ্গল
 থেকে বেড়িয়ে এসে দেখি রাস্তায় আমার
 গ্রালফ্রেনটি নাই।  আমি তার নাম
 ধরে ডাকলাম কিন্তু কোন সাড়া শব্দ নেই।
 আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার
 সাথে কী হচ্ছে, কি করব, কোথায় যাব না চিঃকার করব, কিছুই মুখ দিয়ে আসছে না।।। ঠিক তখন
 পিছনে ফিরে দেখি সাদা কাফনের কাপড়
 পরা এক লাশ দু হাত বাড়িয়ে আমার
 দিকে এগিয়ে আসছে। আমি বই বেগ মোবাইল
 ফেলে প্রানের ভয়ে পাগলের মত  দৌড়াতে থাকলাম।
 এবং সাহস নিয়ে পিছনে ফিরে দেখি লাশটাও
 আমাকে ধরার জন্য দৌড়াচ্ছে। তারপর
 আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।  এবং পরদিন
 নিজেকে নিজের বিছানায় আবিষ্কার করি।
 আমার চারপাশে সবাই দাড়িয়ে আছে।
 আমার জ্ঞান ফেরার পর সবাই
 আমাকে জিঙ্গেস করল যে কী হয়ে ছিল আমার
 সাথে। আর কেনই বা অজ্ঞান
 হয়ে পরে ছিলাম কোচিং সেন্টারে ক্লাসের
 ভিতরে।  আমি তখন সব ঘটনা খুলে বললাম
 এবং আমার কাজিনরা কয়েকজন মিলে দিনের
 বেলায় সে জঙ্গলে যায়।
 এবং গিয়ে দেখতে পায় যে, আমার
 মোবাইল,বই বেগ
 ছরিয়া ছিটিয়ে পরে রয়েছে। তখন সবাই
 বিশ্বাস করল আমি খুব একটা বড় ধরনের
 ঘটনার সম্মুখিন হয়েছি। পরে বাসায় হুজুর
 আনা হয়,  হুজুর তার পালিত জ্বীনের
 দ্বারা বলে যে, মেয়েটা কান্না করছিল।
 সেটা ছিল একটি ভাল মেয়ের আত্তা। কোন ঘটনার প্রক্ষিতে
 তাকে পাকিস্তান প্রিয়ডে এই
 জঙ্গলে তার কাজিনরা ধর্ষন করে ও
 মেরে ফেলে। এর
 পরে থেকে মেয়েটা ছেলে দেখলেই অতকৃষ্ঠ
 লাগত।  হুজুর আরও জানায় মেয়েটার তার
 কাজিনের সাথে ভালো সম্পক্ ছিল। হুজুর
 পরে একটা তাবিজ দেয়।  এরপর আমি ২ মাস
 যাবত অসুস্থ ছিলাম। পরে সুস্থ
 হয়ে জানতে পারি যে দিন আমি কোচিং এ
 গিয়েছিলাম সে দিন বন্ধ ছিল ও আমার
 প্রেমিকা কোচিং এ যায়নি/তাহলে কার
 সাথে আমি কথা বললাম!!!
 কে আমাকে জরিয়ে ধরেছিল!!! ফিরোজ ভাই
 তার পর থেকে আমি একেবারেই মেয়েটার
 সাথে কথা বলা ছেড়ে দেই। পড়া লেখায়
 মনযোগ দেই। আমি এখন ইন্টার B.A 1st year এ
 পড়ছি। আশা করবেন বাকি দিনগুলো যেন
 ভালবাবে কাটাতে পারি। আর সময়
 পেলে আপনাকে আমাদের গ্রামে পুকুর বটগাছ
 নিয়ে কয়েকটা ঘটনা আছে গ্রামের
 প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে, সেই
 ঘটনা গুলো সেয়ার করব । এই ছিল আমার
 জীবনের স্বরনীয় ঘটনা।।
Mobile +8801735449676
 Email:
 joshimsonea@gmail.com
 Facebook http://facebook.com/
 joshim.bhaluka.3
 my blogsite
 http://Joshim-s.blogspot.com

রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

অফরুন্ত ভালোবাসা, স্টুপিড এন্ড মায়াবতীর লাভ হিস্টরীজ

একটা ছেলে একটা মেয়েকে অনেক ভালোবাতো । মেয়েটাও ছেলেটাকে সমান ভালোবাসতো ।
একদিন সেই ছেলেটা মেয়েটাকে চ্যালেন্জ করে বসলো । খুব সহজ একটা চ্যালেন্জ, "তুমি যদি আমাকে সত্যিই ভালোবাসো তাহলে তুমি আমার সাথে একটা সম্পূর্ণ দিন কোন রকম যোগাযোগ করবে না । যদি তুমি টানা ২৪ ঘন্টা যোগাযোগ না করে থাকতে পারো তাহলে আমি তোমাকে আজীবন ভালোবাসবো ।"
মেয়েটা রাজি হলো । সে সারা দিন একবারও যোগাযোগ করলো না ছেলেটার সাথে । কোন ফোন-কল বা কোন এস.এম.এস. - কিছুই করলো না । পরদিন মেয়েটা দৌড়ে গেল ছেলেটার বাসায় । মেয়েটা জানতো নাযে ছেলেটার ক্যান্সার ছিলো আর তার আয়ু ছিলো মাত্র ২৪ ঘন্টা ।মেয়েটার চোখ দিয়ে অঝোর-ধারায় পানি পড়লো যখন সে দেখতে পেলো, ছেলেটা কফিনে শুয়ে আছে আর তার পাশে একটা চিঠি । সেখানে লেখা আছে, "তুমি পেরেছ..রোজ এরকমই থেকো সোনা.. আই লাভ ইউ..."
via http://joshim-s.blogspot.com

একটা দুস্ট মিস্টি ভালোবাসার গল্প। হা হা হা পড়ে দেখুন অনেক মজা পাবেন।

ছেলেটি আর মেয়েটি ভীষণ ভালবাসত দুজন দুজন কে...
ছেলেটির একটি মাত্র দোষ ছিল, দেরী করে আসা...মেয়েটি প্রতিদিন অপেক্ষা করত,কিন্তু কখনো রাগ করত না...
একদিন মেয়েটি এলো না...
ছেলেটি ভীষণ রেগে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে জানতে পারল যে মেয়েটির ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে এবং হসপিটালে শেষ সময়টুকু কাটাচ্ছে...
ছেলেটি নিজের বাড়িতে এলো..একটি চিঠি লিখল," রোজ তুমি আমার জন্যে অপেক্ষা করতে না? আজ আমি তোমার আগে গিয়ে  তোমার জন্যে অপেক্ষা করব..."
ছেলেটি ছাদ থেকে লাফ দিল..
.
.
.
.
.
.
.
.
ঠিক তখনি ওখান দিয়ে সুপারম্যান যাচ্ছিল,
সুপারম্যান কি ছেলেটিকে বাঁচাতে পারবে?
জানার জন্যে দেখুন "সুপারম্যান শো"; প্রতিদিন সন্ধ্যে ছটায় কার্টুন নেটওয়ার্কে!
জানি বন্ধুরা এটা পড়ে তোমাদের আমাকে মারতে ইছা করছে...
কিন্তু কি আর করা  যাবে বলো,
হোআটস্যাপ ফ্রি, তাই যাই পাঠাও না কেন, লোকে মন দিয়ে পড়বে!
এখন না হেসে সবাইকে ফরওয়ার্ড করো!
via http://bengalisms.in