শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

একট ভয়ংকর ব্ল্যাক ম্যাজিকের সত্য ঘটনা

আর্সসালামু ওয়াআলাইকুম, আমার নাম জসীম আহাম্মেদ তৌহিন। পেশায় একজন ওয়েব সাইট ডিজাইনার এন্ড স্টুডেন্ট, আমার বাসা ময়মনসিংহের ভালুকা থানায়।
 আজকে আপনাদের সাথে আমি যে ঘটনাটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, ঘটনাটি ঘটে প্রায় ২২ বছর পুর্বে আমাদের পাশের এক গ্রামে, কিন্তু এখনো ঘটনাটি লোখমুকে প্রচলন আছে। ঘটনাটা মূলত একটা ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে, সভ্যতার আদি থেকেই জাদুবিদ্যা আর জাদুকর বিষয়ে মানুষের প্রচণ্ড রকম আগ্রহ। জাদুবিদ্যা মূলত অতিন্দ্রিয় আর প্রাকৃতিক শক্তিকে বশ করার বিদ্যা। আর পৃথিবীতে কিছু দুস্টু শ্রেণির লোকেরা এ বিদ্যা শিখে থাকে। তারা কঠোর সাধনা করে অন্ধকার জগত্‍ এর বাসিন্ধাদের সাথে যোগাযুগ স্থাপন করে, আর এসব ভূত বা প্রেতাত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে ভবিষ্যদ্বাণী বা কোন কাজ করার বিদ্যাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালোজাদু বলে। অন্যদিকে এক ধরনের বিশেষ ব্ল্যাক ম্যাজিক হচ্ছে ভুডু। ভুডুবিদ্যার সাহায্যে নাকি কবরের লাশ জ্যান্ত করে তাকে গোলামের মতো খাটানে যায়। ভুডুবিদ্যা বা ব্ল্যাক ম্যাজিকের সর্বপ্রথম সংকলন হয় আফ্রিকায়: প্রচলিত আছে যে, কোন এক সময় আফ্রিকার মরক্কোর জঙ্গলে এক বুড়ি বাস করত।
 বুড়ি অনেক সাধনা উপাসনায় সিদ্ধ ও যাদুবিদ্যায় পারদর্শী ছিল, তার এক ছেলে ছিল, হঠাং একদিন অপঘাতে বুড়ির ছেলেটি মারা যায়।তখন বুড়ি তার ম্যৃত ছেলের শরীরে ভুডুবিদ্যা প্রয়োগ করে এবং তার ছেলেকে আবার জীবন্ত করে ফেলে ও প্রতিহিংসার প্রতিশোধ নেয় >> যাইহোক এখন মূল ঘটনায় আসি''
গ্রামের নাম চান্দাবর, রাজীব আর সজীব ঐ গ্রামের বাসিন্ধা। তারা বয়সে যুবক, রাজীব আর সজীব একজন আরেজনের খুব ভালো বন্ধু। হঠাং একদিন এই বন্ধুত্বের মাঝে ফাটল ধরল। ফাটল ধরার কারন: রাজীবের একটি ছোট বোন ছিল, তার নাম ছিল মুন্নি। মুন্নি দেখতে অনেক বিউটিফুল ছিল। যাইহোক, সজীব রাজীবদের বাড়ীতে যাওয়া আসার ফলে সজীব আর মুন্নির মাঝে একটা সম্পর্ক হয়ে যায়।
 এই সম্পর্কের খবরটা একদিন রাজীব জেনে যায় ও সজীবের সাথে ঝগড়া করে, সজীব ঝগড়ার এক পর্যায়ে বলে: আমি তোর বোনকে বিয়ে করব। আর রাজীব উত্তরে বলে: আমি বেঁচে থাকতে আমার বোনকে তোর কাছে বিয়ে দিব না। এইভাবে দুই বন্ধু হয়ে যায় একজন আরেকজনের চিরশুত্রু।
 এইখান থেকে মেইন ঘটনার শুরু:
রাজীব আর সজীবের ঝগড়ার এক মাস পর থেকে, হঠাং একদিন রাজীবের খুব জ্বর হয়, তারপর ডাক্তারে কাছে যায় ঔষধ খায় কিন্তু জ্বর কিছুতেই কমছিল না। এভাবে যত দিন যাচ্ছে সে ততো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে, চেহেরা ভেঙ্গে ঝুলে পড়েছে, বিছানা থেকে উঠতে পারে না, বল শক্তি হারিয়ে বুড়ো হয়ে যাচ্ছিল। দিন-রাত কত রকম চিকিত্‍সা চলছিল কিন্তু রাজীবের কোন পরিবর্তন হয় না, দিন দিন তার শরীর অবশ হয়ে যাচ্ছে।
 অসুস্থের মাঝে রাজীব প্রতিদিন রাত্রে অদ্ভুদ ধরনের স্বপ্ন দেখত, যেমন: সে মারা গেছে লাশ হয়ে খাটিয়ায় শুয়ে আছে তার চারপাশে পরিজন আন্তীয়স্বজনরা কাঁদছে, এবং সজীব দূরে দাড়িয়ে হাসতাছে। এমন অন্ভুদ রকমের স্বপ্ন প্রতিদিন দেখে এভাবেই মৃত্যুর সঙ্গে পান্জা লরে দিন কাটছিল রাজীবের।
 একদিন রাজীবের ছোট চাচা তাদের বাড়ীর পিছনের বাশঝাড়ে যায় আগাছা জঙ্গল কেটে পরিক্সার করার জন্য, যখন আগাছা জঙ্গল সাফ করতে ছিল, তখন সে দেখতে পেল বাশঝাড়ের এক জায়গাই কিছু লালমাটি বের হয়ে আছে, তখন সে লালমাটিটার কাছে যায়।এবং লক্ষ করে দেখল এবং তার মনে হল মাটিটার ভিতরে কিছু পুঁতে রাখা আছে, তার সন্ধেহ হল। এক সময় সে সাহস করে তার হাতের দা দিয়ে ঐ মাটিতে আচার দেই,
আচার দেওয়ার পর সে কিছু একটা দেখল, তারপর ভয়ে ভয়ে আরেকটু মাটি সরায় ও তারপরে সে দেখল একটা বাচ্ছার হাত এটা দেখে সে সাথে সাথে বাশঝাড় থেকে বেড়িয়ে দৌড় দিয়ে বাড়ীতে চলে যায় এবং সবাইকে বলে
বাশঝাড়ের ভিতর মরা বাচ্ছার লাশ। তখন বাড়ীর কয়েকজন সাহসীরা বাশঝাড়ে আসে ও খুব ভয়ে ভয়ে মাটি খুড়ে। মাটি খুরার পর তারা দেখল একটি বাচ্ছার লাশ, বাচ্ছার শরীরে হাতে মুখে পায়ে ঠোটে কানে ভিবিন্ন যায়গাই অনেকগুলো সুচ ফুটানো ও সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপারটা হল বাচ্ছাটার মুখের দাতগুলো অনেক ভয়ংকর, বাচ্ছাটা তার দুই দাত দিয়ে একটি তাবিজ কামরে দরে রেখেছে। বাচ্ছাটার এই রকম দৃশ্য দেখে সবাই ভয়ে কাপছে, তখন ঐ ঘটনাটি গ্রামের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং সে জাইগায় অনেক লোকজন ঝড়ো হয়, সব লোকজনের মাঝে একজন মুরুব্বি হুজুর ছিলেন, তিনি বাচ্ছাটা দেখেই সাথে সাথে বললেন এটা বাচ্ছা না এটা একটা মোমের তৈরি পুতুল। তখন সবাই অবাক হয়ে হুজুরের মুখের দিকে চেয়ে থাকে ও জানতে চায় এই পুতুল কেই এইখানে এইভাবে পুতে রাখা হয়েছে? তখন হুজুর কিছু না বলে পুতুলটা মাটি থেকে হাতে নেই, এবং পুতুলের গায়ে লাগানো সবগুলো সুচ বের করে ও পুতুলের দাত ভেঙ্গে তাবিজটা আগুনে পুড়িয়ে ফেলে।
 তারপর হুজুর সবাইকে বলে এই পুতুলের দ্বারা কাউকে বান মারা হয়েছে, যতদিন এ পুতুলটা মাটির নিচে ভালো থাকবে, যাকে ভান মারা হয়েছে সে ঠিক ততদিন বাঁচবে, পুতুলটা আস্তে আস্তে ধ্বংস হবে, যাকে কবজ করা হয়েছে সেই ব্যাক্তিটাও আস্তে আস্তে অসুস্থ হবে। পুতুলটা একদিন মাটির সাথে মিশে যাবে ঐ ব্যক্তিটাও তখন দুনিয়ার বুকে শেষ নিঃস্বাশ ত্যাগ করবে। হুজুরের কথাগুলো সবাই অবাক হয়ে শুনছিল। এবং হুজুর বলল এই বাশঝাড়ের আশে পাশের বাড়ীতে কেউ কি অসুস্থ আছে অনেকদিন ধরে, তখনি সাথে সাথে রাজীবের পরিবারের সকল লোকজন উত্তর দেয়। তখন হুজুর রাজীবের কাছে যায় এবং সবকিছু জিঙ্গাসা করে ও বলে তোমার কি কারো সাথে কোন প্রকার বড় ধরনের ঝগড়া হয়েছে বা কোন শুত্রু? তখন রাজীব সজীবের সাথে তার বোনকে নিয়ে ঝগড়ার কথা বলে ও প্রতিদিন সে যে অদ্ভুদ স্বপ্নটা দেখত সেই কথাও বলে। তারপর হুজুর বুঝতে পারল এটা তার বন্ধু সজীবের কাজ। এবং সজীবকে তার বাড়ী থেকে লোক দিয়ে দড়িয়ে আনা হয় এবং টপচার করে জিঙ্গাসা করা হয়, তখন সজীব সবকিছু শিকার করে ও বলে আমি চেয়েছিলাম রাজীব মরে যাক তারপরে আমি মুন্নিকে বিয়ে করব।
 সেজন্য আমি এক কবিরাজের কাছে যাই ও সেই কবিরাজ আমাকে কিছু কাজ দেয় রাজীবের মাথার চুল, হাতের নখ নেওয়ার জন্য। তখন আমি তার শরীরআংশ নিয়ে কবিরাজের কাছে যাই এবং কবিরাজ একটি পুতুল তৈরি করে ও পুতুলের শরীরে কাপনের কাপড় পড়িয়ে আমার হাতে দিয়ে বলে, যে এই পুতুলটাকে জানাযা পড়ে তোর শত্রুর বাড়ীর ৪০ হাতের মদ্যে মাটির নিচে পুঁতে রাখবে,, আর বলে যত তারাতারি পুতুলটা বিনিস্ট হবে ততো তারাতারি তোর পথের কাটা দুর হয়ে যাবে। আমি তখন পুতুলটা নিয়ে ও কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে এক হুজুরের কাছে যাই এবং জানাযা পড়িয়ে নিয়ে আসি। হুজুর জিঙ্গাসা করেছিল কাপনের কাপড়ের ভিতর কার লাশ, তখন আমি বলেছিলাম আমার ছোটভাই কিছুক্ষন আগে হয়ছে ও এখন মারা গেছে। মানুষ যাতে না জানতে পারে সেজন্য আপনার কাছে নিয়ে এসেছি। এই বলে হুজুরের হাতে কিছু টাকা দিলাম ও কাওকে বলতে না করলাম। তারপর পুতুলটাকে এনে বাশঝাড়ে পুঁতে রাখি। {যাইহোক} পুতুল ওঠানোর পর থেকে রাজীব ধীরে ধীরে আগের মতে সুস্থ হয়ে যায়। এবং সজীবকে পুলিশে ধড়িয়ে দেওয়া হয় ও কবিরাজকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
 এই ছিল আমার শুনা একটি সত্য ঘটনা ভালো লাগলে পড়ে শুনাবেন ভাইয়া। আমার জানা আরো কিছু আলোকিক ঘটনা আছে যদি সময় পাই তাহলে লিখে পাঠাব। এমন একটা ভৌতিক অনুষ্ঠান প্রচার করার জন্য এশিয়ান রেডিওকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক কালো ভুত লাল পেত্নীর শুভেচ্ছা। আমারা ভূতেরা আছি এশিয়ান রেডিওর সাথে দেখি কনক ভাই ফিরোজ ভাই আমাদের আটকায় কে? সবাই একদিন ভয় পাবে, যে যেখানেই আছেন এশিয়ান রেডিও
পকেটেই রাখুন। আর ঘরের বাতি নিভিয়ে জানালা খুলে কানে হেডফোন লাগিয়ে ফোলসাউন্ডে এইড ডি কোয়ালিটিতে শুনতে থাকুন ভৌতিক । এশিয়ান রেডিও 90.8 FM... চলো দূর বহুদুর।

Phone: +8801626852072
 Email: joshimbhaluka@hotmail.com
 facebook: http://facebook.com/joshim.bhaluka.3
 My blogsite: http://joshim-s.blogspot.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন