আমার নাম জসীম পেশায়
একজন ওয়েব সাইট ডিজাইনার এবং স্টুডেন্ট
বাসা ময়মনসিংহের ভালুকা থানায়
ঘটনাটি ২০১০ সালের মার্চ
মাসে ঘটে আমি তখন ক্লাস ৮ম শ্রেনিতে পড়ি, >>
আমি যে ঘটনাটি সেয়ার করব তা হল
আমি তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। আমি ছিলাম
ক্লাসের সেরা ছাএ সে সুবাদে অনেক
মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব ছিল। যার
ফলে সবাই আমাকে ভালবাসত। আমি যখন
ক্লাস সেভেন এ উদয়মান হই, তখন একটি মেয়ের
সাথে আমার খুব বন্ধুত্ব হয়, যা মনে করেন
ভালবাসা। আর এ ভালবাসার নেশায়
আমি হয়ে যায় ক্লাসের খারাপ ছাএদের
মধ্যে একজন। নিয়মিত ক্লাস করিনা, স্কুল
কামাই করি। আর সুযোগ পেলেই দিন রাত
মেয়েটার সাথে ফোনে কথা বলি।
এমনি করে দিন কেটে যাচ্ছিল। আমি যখন
ক্লাস ৮ম শ্রেনীতে উঠি। তখন আমার রেজাল্ট খুব
বেশি একটা ভাল হয়নি। কিন্তু
সেদিকে একে বারেই আমার খেয়াল নেই।
আব্বা আম্মু
বাসা থেকে বকা ঝোকা করছে,যে রেজাল
এমন হল কিভাবে। আমি তাদের কারও কথায়
উত্তর দেইনা। ক্লাস 8 এর ৫ম দিন,এখান
থেকে মেইন ঘটনার শুরু। যে মেয়েটার
সাথে আমার সম্পর্ক হয়, ফিরোজ ভাই
ব্যক্তিগত কারনে আমি মেয়েটার নাম
উল্লেখ করছি না। সেই মেয়েটাকে তার
বাবা লেখা পড়ার স্পীড বাড়ানোর জন্য
নাইট কোচিং এ ভরতি করাই।
এদিকে সে রাত ১১ টার সময় বাড়ি ফিরে।
সাথে তার বাবা থাকে যার
কারনে আমি তার সাথে বেশি কথা বাথা ও
মিলামেশা করতে পারিনা। এদিকে আমার
মাথায় ৬৪ সেন্টিমিটার তাপমাতরা।
আমি একদিন আম্মুকে বললাম যে আমি নাইট
কোচিং করব। আম্মু আর
কথা না বাড়িয়ে কোচিং সেন্টারে এ
ভরতি করিয়ে দিলেন। আমার কোচিং এর
প্রথম দিন যাওয়ার
সাথে সাথে মেয়েটা আমাকে দেখে মহা খুশি আমিও
খুশি কারণ
আমরা দুজনে একসাথে যাওয়া আসা করব।
কিন্তু রাতে কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার
পথে মেয়েটার বাবা থাকায়
বেশি একটা কথা বলতে পারতাম না।
এভাবে দিন চলতে লাগল। হঠাৎ একদিন
আমি সাভাবিক রাতের মত
হাতে একটা মোবাইল কাধে ব্যাগ
ঝুলিয়ে রাত ৮টার সময় কোচিং এ
যাচ্ছি মোবাইলের লাইটটা অন করে। প্রায়
একমাইল রাস্তা হেটে কোচিং এ যেতে হয়।
আমাদের বাড়ি গ্রামে। ছোট থেকেই
গ্রামে বেড়ে ওঠা। প্রতিনিয়ত ভুত পেতের
ঘটনা দেখতে শুনতে অবস্থ হয়ে গেছি। এখন
সাভাবিক মনে হয়। তাই কিছু না ভেবেই
আনমনে নিরজন
রাস্তা দিয়ে একা একা হেটে যাচ্ছি।
আমার গন্তব্যে পৌছার জন্য।
মোবাইলে গান বাজতাছে ফোল সাউন্ডে ।
ফিরোজ ভাই আর একটা কথা বলে রাখা ভাল
যে,আমাদের গ্রামে এখন প্রযন্ত কোন
বিদ্যুৎ আসেনি। বিদ্যুৎনা থাকায় সন্ধার
পরেই গ্রামটি নীরব থাকে। আমাদের
গ্রামে রাত ৮ টা মানে গভীর রাত। সন্ধার
পরেই সবাই ঘরের খিল
লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। গ্রামের
মানুষেরা মোবাইল চাজ্ দেয়
একমাইল দুরের বিরুনীয়া বাজার থেকে।
আর গ্রামের ভিবিন্ন স্থানে রয়েছে পুকুর,
ডোবা,বাশঝাড়, আম,কাঠালের গাছে বরা বন
জঙ্গল, বলতে গেলে একটি অজ পাড়া গাঁ। ও
এখন ও তাই,যাই হোক ঘটনায় আসি।
আমি রাস্তা হাটছি মেয়েটার
কথা চিন্তা করে। কিন্তু হঠাৎ আমার
মোবাইলের গানটা থেমে গেল।
আমি মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখলাম
মোবাইলের চাজ্ কম বেটারি low
warning দিচ্ছে। তাই আমি গান
না বাজিয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি আপন
মনে। নিজের পায়ের শব্দ
নিজেকে শুনতে হচ্ছে। হঠাৎ আমার মনে হল
আমার পিছনে কেও একজন আছে পায়ের
সাউন্ড পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু
পিছনে তাকিয়ে দেখি কেও নেই। আবার
সামনের দিকে হেটে যাচ্ছি এবার কিছু
ফিশ ফিশ কথা বাথা শুনতে পেলাম।
মনে একটু সাহস পেলাম, হয়ত
আশে পাশে লোকজন আছে কিন্তু মোবাইলের
লাইট দিয়ে দেখলাম কেও নেই চারদিক
ঘুটঘুটে অন্ধকার। আর শো শো ঠান্ডা বাতাশ
বইছে। এবার একটা মেয়েলি বয়েসের
হাসির শব্দ শুনতে পেলাম, ও অবাক
হয়ে রিতিমত ভয় পেয়ে গেলাম, এত
রাতে জঙ্গলের ভিতর
মেয়ে আসবে কোথেকে,,,, আমি ভাবলাম মনের
ভুল। আমি রাস্তা দিয়ে হেটে শেষ প্রযন্ত
কোচিং এ
গিয়ে দেখি মেয়েটা একা একা ক্লাসে বসে আছে, কোন
সার নেই অফিষ ঘর বন্ধ।
আমি বললাম কী বেপার
তুমি একা বাকিরা কই? সে আমাকে বলল
আজকে কোচিং বন্ধ।
আমি মেয়েটাকে বললাম তোমার
বাবা আসেনি? সে বলল জরুরি কাজে ঢাকায়
গেছে,ফিরতে ২/৩ দেরি হবে, আব্বু
বলেছে তোমার সাথে যাওয়া আসা করতে। এ
কথা বলেই
সে আমাকে জরিয়ে ধরল, আমি নিজেকে সংযত
করে বললাম চল বাড়ি যাওয়া যাক।
সে বলল চল, দুজন নিরজন
রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি আর
কথা বলছি। আমার
একটা কথা মনে পড়ছে, তাকে জিঙ্গাসা করলাম
যে, আজকে কোচিং এ আসছ কার সাথে?
সে উত্তর বলল তার এক কাজিন এর সাথে।
আমি বললাম তোমার কাজিন এখন কোথায়?
সে বলল বাড়ি চলে গেছে। আমি ও
সে কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে হাটছি।
এমন সময় কান্নার শব্দ, একটা মেয়েলি কন্ঠ''
''আমি থমকে দাড়ালাম ঠিক
সে জায়গা যে জায়গায় হাসির শব্দ
পেয়েছিলাম!! আমি এখন মেয়েটির
দিকে না তাকিয়ে সাহস করে বললাম,
যে তুমি এখানে দাড়াও
আমি দেখে আসছি কে কান্না করে।
আমি রাস্তা থেকে জঙ্গলে প্রভেশ
করে দেখি, একটা মেয়ে পিছন
দিকে ঘুরে বসে কান্না করছে, আমার
পায়ের শব্দ সে, কান্না থামিয়ে দিল।
কাছাকাছি যাওয়ার পর আমি বললাম
কে তুমি??? এখানে কান্না করছ,?? আমার কথার
কোন উত্তর দিল না। আমার
দিকে ঘুরে তাকাল এবং আমি মোবাইলের
লাইটের আলোই যা দেখলাম।
সেই মেয়েটা: যাকে আমি ভালবাসি তার
মুখে রক্ত। আমি এই দৃশ্য দেখে ভয়
পেয়ে দৌড়ে জঙ্গল
থেকে বেড়িয়ে এসে দেখি রাস্তায় আমার
গ্রালফ্রেনটি নাই। আমি তার নাম
ধরে ডাকলাম কিন্তু কোন সাড়া শব্দ নেই।
আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার
সাথে কী হচ্ছে, কি করব, কোথায় যাব না চিঃকার করব, কিছুই মুখ দিয়ে আসছে না।।। ঠিক তখন
পিছনে ফিরে দেখি সাদা কাফনের কাপড়
পরা এক লাশ দু হাত বাড়িয়ে আমার
দিকে এগিয়ে আসছে। আমি বই বেগ মোবাইল
ফেলে প্রানের ভয়ে পাগলের মত দৌড়াতে থাকলাম।
এবং সাহস নিয়ে পিছনে ফিরে দেখি লাশটাও
আমাকে ধরার জন্য দৌড়াচ্ছে। তারপর
আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এবং পরদিন
নিজেকে নিজের বিছানায় আবিষ্কার করি।
আমার চারপাশে সবাই দাড়িয়ে আছে।
আমার জ্ঞান ফেরার পর সবাই
আমাকে জিঙ্গেস করল যে কী হয়ে ছিল আমার
সাথে। আর কেনই বা অজ্ঞান
হয়ে পরে ছিলাম কোচিং সেন্টারে ক্লাসের
ভিতরে। আমি তখন সব ঘটনা খুলে বললাম
এবং আমার কাজিনরা কয়েকজন মিলে দিনের
বেলায় সে জঙ্গলে যায়।
এবং গিয়ে দেখতে পায় যে, আমার
মোবাইল,বই বেগ
ছরিয়া ছিটিয়ে পরে রয়েছে। তখন সবাই
বিশ্বাস করল আমি খুব একটা বড় ধরনের
ঘটনার সম্মুখিন হয়েছি। পরে বাসায় হুজুর
আনা হয়, হুজুর তার পালিত জ্বীনের
দ্বারা বলে যে, মেয়েটা কান্না করছিল।
সেটা ছিল একটি ভাল মেয়ের আত্তা। কোন ঘটনার প্রক্ষিতে
তাকে পাকিস্তান প্রিয়ডে এই
জঙ্গলে তার কাজিনরা ধর্ষন করে ও
মেরে ফেলে। এর
পরে থেকে মেয়েটা ছেলে দেখলেই অতকৃষ্ঠ
লাগত। হুজুর আরও জানায় মেয়েটার তার
কাজিনের সাথে ভালো সম্পক্ ছিল। হুজুর
পরে একটা তাবিজ দেয়। এরপর আমি ২ মাস
যাবত অসুস্থ ছিলাম। পরে সুস্থ
হয়ে জানতে পারি যে দিন আমি কোচিং এ
গিয়েছিলাম সে দিন বন্ধ ছিল ও আমার
প্রেমিকা কোচিং এ যায়নি/তাহলে কার
সাথে আমি কথা বললাম!!!
কে আমাকে জরিয়ে ধরেছিল!!! ফিরোজ ভাই
তার পর থেকে আমি একেবারেই মেয়েটার
সাথে কথা বলা ছেড়ে দেই। পড়া লেখায়
মনযোগ দেই। আমি এখন ইন্টার B.A 1st year এ
পড়ছি। আশা করবেন বাকি দিনগুলো যেন
ভালবাবে কাটাতে পারি। আর সময়
পেলে আপনাকে আমাদের গ্রামে পুকুর বটগাছ
নিয়ে কয়েকটা ঘটনা আছে গ্রামের
প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে, সেই
ঘটনা গুলো সেয়ার করব । এই ছিল আমার
জীবনের স্বরনীয় ঘটনা।।
Mobile +8801735449676
Email:
joshimsonea@gmail.com
Facebook http://facebook.com/
joshim.bhaluka.3
my blogsite
http://Joshim-s.blogspot.com
একজন ওয়েব সাইট ডিজাইনার এবং স্টুডেন্ট
বাসা ময়মনসিংহের ভালুকা থানায়
ঘটনাটি ২০১০ সালের মার্চ
মাসে ঘটে আমি তখন ক্লাস ৮ম শ্রেনিতে পড়ি, >>
আমি যে ঘটনাটি সেয়ার করব তা হল
আমি তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। আমি ছিলাম
ক্লাসের সেরা ছাএ সে সুবাদে অনেক
মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব ছিল। যার
ফলে সবাই আমাকে ভালবাসত। আমি যখন
ক্লাস সেভেন এ উদয়মান হই, তখন একটি মেয়ের
সাথে আমার খুব বন্ধুত্ব হয়, যা মনে করেন
ভালবাসা। আর এ ভালবাসার নেশায়
আমি হয়ে যায় ক্লাসের খারাপ ছাএদের
মধ্যে একজন। নিয়মিত ক্লাস করিনা, স্কুল
কামাই করি। আর সুযোগ পেলেই দিন রাত
মেয়েটার সাথে ফোনে কথা বলি।
এমনি করে দিন কেটে যাচ্ছিল। আমি যখন
ক্লাস ৮ম শ্রেনীতে উঠি। তখন আমার রেজাল্ট খুব
বেশি একটা ভাল হয়নি। কিন্তু
সেদিকে একে বারেই আমার খেয়াল নেই।
আব্বা আম্মু
বাসা থেকে বকা ঝোকা করছে,যে রেজাল
এমন হল কিভাবে। আমি তাদের কারও কথায়
উত্তর দেইনা। ক্লাস 8 এর ৫ম দিন,এখান
থেকে মেইন ঘটনার শুরু। যে মেয়েটার
সাথে আমার সম্পর্ক হয়, ফিরোজ ভাই
ব্যক্তিগত কারনে আমি মেয়েটার নাম
উল্লেখ করছি না। সেই মেয়েটাকে তার
বাবা লেখা পড়ার স্পীড বাড়ানোর জন্য
নাইট কোচিং এ ভরতি করাই।
এদিকে সে রাত ১১ টার সময় বাড়ি ফিরে।
সাথে তার বাবা থাকে যার
কারনে আমি তার সাথে বেশি কথা বাথা ও
মিলামেশা করতে পারিনা। এদিকে আমার
মাথায় ৬৪ সেন্টিমিটার তাপমাতরা।
আমি একদিন আম্মুকে বললাম যে আমি নাইট
কোচিং করব। আম্মু আর
কথা না বাড়িয়ে কোচিং সেন্টারে এ
ভরতি করিয়ে দিলেন। আমার কোচিং এর
প্রথম দিন যাওয়ার
সাথে সাথে মেয়েটা আমাকে দেখে মহা খুশি আমিও
খুশি কারণ
আমরা দুজনে একসাথে যাওয়া আসা করব।
কিন্তু রাতে কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার
পথে মেয়েটার বাবা থাকায়
বেশি একটা কথা বলতে পারতাম না।
এভাবে দিন চলতে লাগল। হঠাৎ একদিন
আমি সাভাবিক রাতের মত
হাতে একটা মোবাইল কাধে ব্যাগ
ঝুলিয়ে রাত ৮টার সময় কোচিং এ
যাচ্ছি মোবাইলের লাইটটা অন করে। প্রায়
একমাইল রাস্তা হেটে কোচিং এ যেতে হয়।
আমাদের বাড়ি গ্রামে। ছোট থেকেই
গ্রামে বেড়ে ওঠা। প্রতিনিয়ত ভুত পেতের
ঘটনা দেখতে শুনতে অবস্থ হয়ে গেছি। এখন
সাভাবিক মনে হয়। তাই কিছু না ভেবেই
আনমনে নিরজন
রাস্তা দিয়ে একা একা হেটে যাচ্ছি।
আমার গন্তব্যে পৌছার জন্য।
মোবাইলে গান বাজতাছে ফোল সাউন্ডে ।
ফিরোজ ভাই আর একটা কথা বলে রাখা ভাল
যে,আমাদের গ্রামে এখন প্রযন্ত কোন
বিদ্যুৎ আসেনি। বিদ্যুৎনা থাকায় সন্ধার
পরেই গ্রামটি নীরব থাকে। আমাদের
গ্রামে রাত ৮ টা মানে গভীর রাত। সন্ধার
পরেই সবাই ঘরের খিল
লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। গ্রামের
মানুষেরা মোবাইল চাজ্ দেয়
একমাইল দুরের বিরুনীয়া বাজার থেকে।
আর গ্রামের ভিবিন্ন স্থানে রয়েছে পুকুর,
ডোবা,বাশঝাড়, আম,কাঠালের গাছে বরা বন
জঙ্গল, বলতে গেলে একটি অজ পাড়া গাঁ। ও
এখন ও তাই,যাই হোক ঘটনায় আসি।
আমি রাস্তা হাটছি মেয়েটার
কথা চিন্তা করে। কিন্তু হঠাৎ আমার
মোবাইলের গানটা থেমে গেল।
আমি মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখলাম
মোবাইলের চাজ্ কম বেটারি low
warning দিচ্ছে। তাই আমি গান
না বাজিয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি আপন
মনে। নিজের পায়ের শব্দ
নিজেকে শুনতে হচ্ছে। হঠাৎ আমার মনে হল
আমার পিছনে কেও একজন আছে পায়ের
সাউন্ড পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু
পিছনে তাকিয়ে দেখি কেও নেই। আবার
সামনের দিকে হেটে যাচ্ছি এবার কিছু
ফিশ ফিশ কথা বাথা শুনতে পেলাম।
মনে একটু সাহস পেলাম, হয়ত
আশে পাশে লোকজন আছে কিন্তু মোবাইলের
লাইট দিয়ে দেখলাম কেও নেই চারদিক
ঘুটঘুটে অন্ধকার। আর শো শো ঠান্ডা বাতাশ
বইছে। এবার একটা মেয়েলি বয়েসের
হাসির শব্দ শুনতে পেলাম, ও অবাক
হয়ে রিতিমত ভয় পেয়ে গেলাম, এত
রাতে জঙ্গলের ভিতর
মেয়ে আসবে কোথেকে,,,, আমি ভাবলাম মনের
ভুল। আমি রাস্তা দিয়ে হেটে শেষ প্রযন্ত
কোচিং এ
গিয়ে দেখি মেয়েটা একা একা ক্লাসে বসে আছে, কোন
সার নেই অফিষ ঘর বন্ধ।
আমি বললাম কী বেপার
তুমি একা বাকিরা কই? সে আমাকে বলল
আজকে কোচিং বন্ধ।
আমি মেয়েটাকে বললাম তোমার
বাবা আসেনি? সে বলল জরুরি কাজে ঢাকায়
গেছে,ফিরতে ২/৩ দেরি হবে, আব্বু
বলেছে তোমার সাথে যাওয়া আসা করতে। এ
কথা বলেই
সে আমাকে জরিয়ে ধরল, আমি নিজেকে সংযত
করে বললাম চল বাড়ি যাওয়া যাক।
সে বলল চল, দুজন নিরজন
রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি আর
কথা বলছি। আমার
একটা কথা মনে পড়ছে, তাকে জিঙ্গাসা করলাম
যে, আজকে কোচিং এ আসছ কার সাথে?
সে উত্তর বলল তার এক কাজিন এর সাথে।
আমি বললাম তোমার কাজিন এখন কোথায়?
সে বলল বাড়ি চলে গেছে। আমি ও
সে কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে হাটছি।
এমন সময় কান্নার শব্দ, একটা মেয়েলি কন্ঠ''
''আমি থমকে দাড়ালাম ঠিক
সে জায়গা যে জায়গায় হাসির শব্দ
পেয়েছিলাম!! আমি এখন মেয়েটির
দিকে না তাকিয়ে সাহস করে বললাম,
যে তুমি এখানে দাড়াও
আমি দেখে আসছি কে কান্না করে।
আমি রাস্তা থেকে জঙ্গলে প্রভেশ
করে দেখি, একটা মেয়ে পিছন
দিকে ঘুরে বসে কান্না করছে, আমার
পায়ের শব্দ সে, কান্না থামিয়ে দিল।
কাছাকাছি যাওয়ার পর আমি বললাম
কে তুমি??? এখানে কান্না করছ,?? আমার কথার
কোন উত্তর দিল না। আমার
দিকে ঘুরে তাকাল এবং আমি মোবাইলের
লাইটের আলোই যা দেখলাম।
সেই মেয়েটা: যাকে আমি ভালবাসি তার
মুখে রক্ত। আমি এই দৃশ্য দেখে ভয়
পেয়ে দৌড়ে জঙ্গল
থেকে বেড়িয়ে এসে দেখি রাস্তায় আমার
গ্রালফ্রেনটি নাই। আমি তার নাম
ধরে ডাকলাম কিন্তু কোন সাড়া শব্দ নেই।
আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার
সাথে কী হচ্ছে, কি করব, কোথায় যাব না চিঃকার করব, কিছুই মুখ দিয়ে আসছে না।।। ঠিক তখন
পিছনে ফিরে দেখি সাদা কাফনের কাপড়
পরা এক লাশ দু হাত বাড়িয়ে আমার
দিকে এগিয়ে আসছে। আমি বই বেগ মোবাইল
ফেলে প্রানের ভয়ে পাগলের মত দৌড়াতে থাকলাম।
এবং সাহস নিয়ে পিছনে ফিরে দেখি লাশটাও
আমাকে ধরার জন্য দৌড়াচ্ছে। তারপর
আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এবং পরদিন
নিজেকে নিজের বিছানায় আবিষ্কার করি।
আমার চারপাশে সবাই দাড়িয়ে আছে।
আমার জ্ঞান ফেরার পর সবাই
আমাকে জিঙ্গেস করল যে কী হয়ে ছিল আমার
সাথে। আর কেনই বা অজ্ঞান
হয়ে পরে ছিলাম কোচিং সেন্টারে ক্লাসের
ভিতরে। আমি তখন সব ঘটনা খুলে বললাম
এবং আমার কাজিনরা কয়েকজন মিলে দিনের
বেলায় সে জঙ্গলে যায়।
এবং গিয়ে দেখতে পায় যে, আমার
মোবাইল,বই বেগ
ছরিয়া ছিটিয়ে পরে রয়েছে। তখন সবাই
বিশ্বাস করল আমি খুব একটা বড় ধরনের
ঘটনার সম্মুখিন হয়েছি। পরে বাসায় হুজুর
আনা হয়, হুজুর তার পালিত জ্বীনের
দ্বারা বলে যে, মেয়েটা কান্না করছিল।
সেটা ছিল একটি ভাল মেয়ের আত্তা। কোন ঘটনার প্রক্ষিতে
তাকে পাকিস্তান প্রিয়ডে এই
জঙ্গলে তার কাজিনরা ধর্ষন করে ও
মেরে ফেলে। এর
পরে থেকে মেয়েটা ছেলে দেখলেই অতকৃষ্ঠ
লাগত। হুজুর আরও জানায় মেয়েটার তার
কাজিনের সাথে ভালো সম্পক্ ছিল। হুজুর
পরে একটা তাবিজ দেয়। এরপর আমি ২ মাস
যাবত অসুস্থ ছিলাম। পরে সুস্থ
হয়ে জানতে পারি যে দিন আমি কোচিং এ
গিয়েছিলাম সে দিন বন্ধ ছিল ও আমার
প্রেমিকা কোচিং এ যায়নি/তাহলে কার
সাথে আমি কথা বললাম!!!
কে আমাকে জরিয়ে ধরেছিল!!! ফিরোজ ভাই
তার পর থেকে আমি একেবারেই মেয়েটার
সাথে কথা বলা ছেড়ে দেই। পড়া লেখায়
মনযোগ দেই। আমি এখন ইন্টার B.A 1st year এ
পড়ছি। আশা করবেন বাকি দিনগুলো যেন
ভালবাবে কাটাতে পারি। আর সময়
পেলে আপনাকে আমাদের গ্রামে পুকুর বটগাছ
নিয়ে কয়েকটা ঘটনা আছে গ্রামের
প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে, সেই
ঘটনা গুলো সেয়ার করব । এই ছিল আমার
জীবনের স্বরনীয় ঘটনা।।
Mobile +8801735449676
Email:
joshimsonea@gmail.com
Facebook http://facebook.com/
joshim.bhaluka.3
my blogsite
http://Joshim-s.blogspot.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন